এমন কোন দেশ কি পৃথিবীতে রয়েছে যেখানকার ভিক্ষুকরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভিক্ষা করে? ভিক্ষাবৃত্তি আর ডিজিটাল স্টাইল!! হ্যাঁ, এ রকমটিই হয়ে থাকে এশিয়ার বৃহত্তম দেশ চীনে! আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে এরকম সংবাদই প্রকাশিত হয়েছে।
চীনের জিনান প্রদেশ এমন একটি জায়গা যেখানে প্রতি বছরই প্রচুর পরিমাণে বিদেশি পর্যটক বেড়াতে আসেন। সেই জিনান প্রদেশেরই ওয়াংফু পুল এলাকায় ভিক্ষুকরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভিক্ষা নিচ্ছেন। কিন্তু কী ভাবে করছেন তারা এই ডিজিটাল ভিক্ষা? ভিক্ষুকরা নিজেদের ভিক্ষাপাত্রে কিউআর কোড সমন্বিত একটি কার্ড রেখে দেন। তারপর যারা ভিক্ষা দিতে ইচ্ছুক, তারা তাদের মোবাইলের “আলিপে” অথবা “উইচ্যাট ওয়ালেট”-এর মতো ডিজিটাল ওয়ালেট খুলে ওই কিউআর কোডটি স্ক্যান করে নিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো টাকার পরিমাণ দান করছেন ভিক্ষুককে।
জিনান প্রদেশে ঘুরতে আসা বিদেশি পর্যটকরা স্থানীয় ভিক্ষুকদের প্রতি বেশ দয়াপরবশই থাকেন। কিন্তু তাদের কাছে অনেক সময়েই চীনের মুদ্রার খুচরা থাকে না। ডিজিটাল ট্রানজ্যাকশনে খুচরার এই সমস্যা দূর করে। যাই হোক এই পদ্ধতিতে ভিক্ষা গ্রহণ করতে হলে ভিক্ষুকের কাছেও মোবাইল ফোন থাকা প্রয়োজন। চীনের সংবাদমাধ্যমের মতে, চীনের ভিক্ষুকদের কাছে মোবাইল ফোন থাকা এখন এমন কোন অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। অনেক ভিক্ষুকরা নিজেদের কাছে মুঠোফোন রাখেন।
জিনান প্রদেশের একজন ভিক্ষুক প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৪৫ ঘণ্টা কাজ করেন। আর উইচ্যাটের কিউআর কোড স্ক্যান করেই একজন ভিক্ষুক প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৮ টাকা থেকে ১৮ টাকা পর্যন্ত রোজগার করেন।
No comments:
Post a Comment